11তম রেজাল্ট




11তম রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়া মানে কাণাঘুষায় ভর্তি স্কুল, কলেজ, আর কাছাকাছি এলাকা। আনন্দের চোখে জল পুরে আসা কোনও কোনও শিক্ষার্থী, আবার কারও চোখে মলিনতাও কম নয়। আর কী বলব, বছরব্যাপী পরিশ্রমের ফল তো!

11তম রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পেছনে কত কাহিনী, কত ঘটনা!

  • কারও ঘুমের রাত বেড়েছে পড়াশোনার চাপে।
  • কারও মনকে সান্ত্বনা দিয়েছে মহালোক,
  • কারও মন স্থির রেখেছে প্রিয় বন্ধুদের আশীর্বাদে।
আর শিক্ষকদের ভূমিকা তো কম নয়। দিনের পর দিন পড়িয়ে শেখানো, মনোবল বাড়ানো আর কী নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের উপর প্রত্যয় রাখতে সাহায্য করা, এই সবই তো শিক্ষকদের কাজ।
এই বছরও রেজাল্ট প্রকাশিত হল। রেজাল্টে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। শিক্ষা দিচ্ছে, ছেলে আর মেয়ের মধ্যে আজ আর কোনও পার্থক্য নেই। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে কম নয়। প্রতিযোগিতার জগতে মেয়েরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
অভিভাবকদের তো বলারই থাকে না কিছু। সন্তান যদি ভালো রেজাল্ট করে, তাহলে তাঁদের আনন্দের সীমা থাকে না। আর সন্তান খারাপ রেজাল্ট করলে হতাশার শেষ থাকে না। কিন্তু মনে রাখবেন, রেজাল্ট জীবনের সবকিছু নয়। এটা কেবলমাত্র শিক্ষাজীবনের একটি অংশ। তাই রেজাল্ট যেমনই হোক, শিক্ষার্থীদের মনোবল হারাতে দেওয়া ঠিক নয়।
তাই তো বলছি, 11তম রেজাল্ট শুধু একটি রেজাল্ট নয়, এটা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একাধিক অভিজ্ঞতার সমষ্টি। যে অভিজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যত জীবনে কাজে লাগবে। তাই সব শিক্ষার্থীকে আমার অনুরোধ, রেজাল্ট যেমনই হোক না কেন, নিজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবিচল থাকো। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাও। তোমাদের দু’হাত ভর্তি শুভেচ্ছা রইল তোমাদের সঙ্গে।