12 মে বিক্ষোভ: বিক্ষোভকারী কি আসলেই স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে?




12 মে, একটি দিন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণভাবে নথিভুক্ত হয়েছে। এটি একটি দিন যা জাতীয় সততা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কিন্তু এটি সেই দিনও যখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল, যা সরকারবিরোধী আন্দোলনের একটি বাঁক রচনা করেছিল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অযোগ্য। তারা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করা উচিৎ বলে দাবি করেছিল।

অবশ্যই সবাই এই দাবির সাথে একমত নয়। অনেকে আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে সরকার ভালো কাজ করছে এবং বিক্ষোভকারীরা শুধুমাত্র সমস্যা সৃষ্টি করছে। অন্যরা আবার মনে করেন যে বিক্ষোভকারীরা ঠিক কাজ করছে কিন্তু তারা আরও সংগঠিত এবং কার্যকর হওয়া উচিৎ।

একটি প্রশ্ন যা অনেক মানুষের মনে আসে তা হল: বিক্ষোভকারীরা কি আসলেই স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে?

এই প্রশ্নের উত্তর জটিল এবং দ্ব্যর্থহীন। একদিকে, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং মানুষের নিজের অভিমত ব্যক্ত করার এবং নিজের ইচ্ছামত ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। দ্বিতীয়ত, সরকারের অনেক কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক মানুষ সমালোচনামূলক এবং তারা মনে করেন যে তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত, বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে কিনা তা নির্ধারণের বিষয়টি প্রত্যেক ব্যক্তির। সঠিক বা ভুল উত্তর নেই, কারণ এটি ব্যক্তিগত মতামতের ব্যাপার।

যা যাই হোক না কেন, 12 মে বিক্ষোভ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। এটি একটি ঘটনা যা দেশের ভবিষ্যতের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

বিক্ষোভের চোখে

আমি 12 মে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সাথে কথা বলেছি এবং তারা কেন অংশ নিয়েছে তা শুনেছি। এমন একজন ব্যক্তির সাথে দেখা হয়েছে যিনি বলেছিলেন যে তিনি দেশের দুর্নীতির কারণে হতাশ হয়েছেন। তিনি নিজের মতামত প্রকাশের সাহস করার জন্য সরকারকে ভয় পান।

আরেকজন ব্যক্তির সাথে কথা হয়েছে যিনি বলেছিলেন যে তিনি সরকারের প্রশাসন নিয়ে হতাশ হয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে সরকার দেশের মানুষের চাহিদার প্রতি সাড়া দিচ্ছে না।

বিক্ষোভকারীরা যা বলছেন তা শুনে আমি একটি জিনিস বুঝতে পেরেছি: তারা সবাই ভালো কিছুর জন্য লড়াই করছে। তারা চায় বাংলাদেশ একটি সুন্দর জায়গা হোক যেখানে সবাই সুযোগ পায়।

তবে, আমি এই ব্যাপারেও বাস্তববাদী। আমি জানি যে পরিবর্তন সহজ হবে না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য অনেক ঝুঁকি আছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের মতামত প্রকাশ থেকে ভয় পাচ্ছে না। তারা পরিবর্তন চায় এবং তারা লড়াই করতে প্রস্তুত।

12 মে বিক্ষোভ একটি অলস ঘটনা ছিল না। এটি একটি সতর্কবার্তা ছিল। সরকারের নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী হওয়ার এবং দেশের মানুষের চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়ার সময় এসেছে।

এছাড়াও, এটি আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমাদের সরকারের মতামতের প্রতি সচেতন থাকা এবং প্রয়োজন মনে হলে কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিৎ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ শুধুমাত্র তখনই কাজ করতে পারে যখন নাগরিকরা সক্রিয় থাকে এবং তাদের মতামত প্রকাশের সাহস রাখে।

12 মে বিক্ষোভ আমাদের সকলের জন্য স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করার এবং আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার জন্য একটি স্মরণচিহ্ন হওয়া উচিৎ।