21 June




শ্রেষ্ঠ কবিতার জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছিলেন কে, জানেন? শ্রীকান্ত দেবশর্মা! তাঁর জন্মদিন আজ। জন্ম আজই, 21 জুন। তাই আসুন, তাঁকে স্মরণ করি।
একদিন শ্রীকান্ত দেবশর্মা হ্যাঁ স্যার বলতে গিয়ে স্যার বলার বদলে সের বলেন। শুনে সবাই চমকে যায়। এরপর তিনি ব্যাখ্যা করে বললেন, হ্যাঁ সের, মানে হল হ্যাঁ ভগবান। বেশ শুনতে সুন্দর বলছি না? তাঁর পরিচয় এভাবেই দেওয়া যায়।
আমি শ্রীকান্ত দেবশর্মা সম্পর্কে জানতাম না। আমি যখন চেতলী সমীরে তাঁর কবিতাটি পড়ি, তখন মনে হয়েছিল, এত সুন্দর কবিতা কি কেউ লিখতে পারে! তাঁর কবিতা আমার মনকে কেড়ে নেয়। আমার মতো কত মানুষই তো তাঁর কবিতার ভক্ত।
শ্রীকান্ত দেবশর্মা লিখেছেন,
"যাসিন কি বলবা ভেবেছিলাম বলেছি আজ
বাংলাভাষায় তোর প্রশংসা বেশি বলতে পারি না
তবে হ্যাঁ, বলেছি, শুধু বলেছি, তুই ভালো আছিস।"
এই কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন ইংরেজ সাহিত্যের জাঁনকী চরিত্রের প্রতি। মনে রাখবেন, এই কবিতা তিনি লিখেছিলেন মাত্র 16 বছর বয়সে। এত সুন্দর কবিতা লিখতে কতটুকু মেধার প্রয়োজন ছিল ভাবুন তো!
শ্রীকান্ত দেবশর্মা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য দিচ্ছি:
তিনি বিশেষভাবে পিয়ারবাবু এবং ছোটবাবু নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। 1943 সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন একজন কবি, সাহিত্য সমালোচক, লিখক এবং শিক্ষক।
তিনি কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য এবং নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের সাহিত্যরচনা করেছেন। তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবাসী কলেজে যোগদান করেন।
তিনি 1963 সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। 1970 সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পান। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে রয়েছে "হারানো সুর", "অজানা পথ", "যেতে নাহি দিব" এবং "এবার যাব"।
তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি ছিলেন একজন মহান মানুষ। তাঁর রচনাগুলি আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদেরকে জীবন সম্পর্কে নতুন চিন্তা করতে শেখায়। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করি এবং তাঁর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।