আমাদের দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা মনে হলেই, প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ঝলমলে পথে পা মিলিয়ে চলা মনোরম কুচকাওয়াজের দৃশ্য। ভারতবাসীর জন্য এই অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উদযাপন।
আমি বরাবরই এই কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকার স্বপ্ন দেখতাম। আর শেষ পর্যন্ত, আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো গত 26শে জানুয়ারি। সকাল থেকেই আমি উত্তেজনায় ছিলাম। সকাল 9টায় আমি আমার পরিবারের সাথে রাজপথে পৌঁছলাম। রাজপথ তখন দর্শকদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। আমরা আমাদের আসনটি খুঁজে বসলাম এবং অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষা করতে লাগলাম।
কুচকাওয়াজ শুরু:
ঠিক 10টায়, কুচকাওয়াজ শুরু হলো। প্রথমে এলো রাষ্ট্রপতির ঘোড়সওয়ার বাহিনী। তারপরে এলো বিভিন্ন রাজ্যের ঝাড়খ, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ সহ আরও অনেক রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলো। প্রতিটি ট্যাবলোই ছিল অনন্য এবং বর্ণিল।
তারপরে আসলো বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। তারা ছিলেন ঝলমলে পোশাক পরা এবং তাদের মুখে ছিল দেশভক্তির ছাপ। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা তাদের দক্ষতা ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করলেন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য ছিল যখন হেলিকপ্টারগুলি আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল এবং তাদের রঙিন ধোঁয়া রেখে গেল।
কুচকাওয়াজের সবচেয়ে অনন্য অংশটি ছিল নারী অনুষ্ঠানকারীদের দল। তারা অসাধারণ সাহস ও দক্ষতা প্রদর্শন করলেন। এটি দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম এবং গর্বিত হয়েছিলাম।
আমার অভিজ্ঞতা:
26শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতাগুলির একটি। এটি ছিল আনন্দ, উত্তেজনা এবং দেশভক্তির এক অবিস্মরণীয় মিশ্রণ। এই অনুষ্ঠানটি আমাকে ভারতীয় হওয়ার গর্ব এবং আমাদের দেশের জন্য যে রক্ত ও ঘাম ঝরানো হয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করিয়েছে। প্রতিটি ভারতবাসীর উচিত অন্তত একবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার।
উপসংহার:
26শে জানুয়ারি আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে, আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উদযাপন করি। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এই উদযাপনের সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশ। এটি আমাদের সকল ভারতবাসীকে একত্রিত করে এবং আমাদের দেশের জন্য গর্বের অনুভূতি দেয়।