আমার সিং চমকিলা পাঞ্জাবের একজন লোক গায়ক ছিলেন, যিনি তার বিদ্রোহী গান এবং চ্যালেঞ্জিং গীতিকারের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাকে পাঞ্জাবি সংগীতের 'রাজা' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রাথমিক জীবন এবং কর্মজীবন:Amar Singh Chamkila 21 জুলাই, 1961 সালে পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার Dhapai গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং তরুণ বয়স থেকেই গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি স্থানীয় মেলা এবং অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেন।
1979 সালে, চমকিলা তার প্রথম অ্যালবাম "আজ দিল সাদে নে" প্রকাশ করেন, যা একটি ব্যাপক সাফল্য ছিল। তার গানগুলি কৃষকদের অধিকার, সামাজিক অন্যায় এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পরিচিত ছিল। তার সরাসরি এবং প্রকাশ্য গীতিকবিতা তাকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং নিম্ন-বর্গের শ্রোতাদের কাছে।
সঙ্গীতশৈলী এবং প্রভাব:চমকিলার সঙ্গীতশৈলী পাঞ্জাবি লোকগীতি এবং ভাংড়া দ্বারা প্রভাবিত ছিল। তার গানগুলি সাধারণত দ্রুত টেম্পো, আকর্ষণীয় সুর এবং শক্তিশালী বীট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার গীতিকবিতা প্রায়ই সামাজিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহৃত হত, যেমন দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং দুর্নীতি।
চমকিলা তার সরাসরি পারফরম্যান্সের জন্যও পরিচিত ছিলেন, যেখানে তিনি উচ্চ-শক্তির প্রদর্শন করতেন এবং দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করতেন। তিনি তার ক্যারিশমা এবং মঞ্চ উপস্থিতির জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তাকে পাঞ্জাবের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী গায়কদের মধ্যে একজন করে তুলেছিল।
ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু:চমকিলার ব্যক্তিগত জীবন তীব্রভাবে মতবিরোধ এবং বিপর্যয়ের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি তিনবার বিয়ে করেছিলেন এবং তার বেশ কয়েকটি সম্পর্ক ছিল, যা প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে আলোচিত হত। তিনি মাদকাসক্তি এবং আইনি সমস্যাগুলির জন্যও পরিচিত ছিলেন।
8 মার্চ, 1988 সালে, চমকিলা এবং তার স্ত্রী আমরিশ কুমারীকে পাঞ্জাবের মেহতা চক গ্রামে তার বাড়িতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা হত্যা করে। হত্যার কারণ এখনও অজানা, এবং মামলাটি এখনও অনসমস্যাযোগ্য রয়েছে।
বিরাট:চমকিলার মৃত্যু পাঞ্জাবী সংগীত এবং সংস্কৃতিতে একটি বড় ধাক্কা ছিল। তাকে পাঞ্জাবি সংগীতের 'রাজা' হিসেবে স্মরণ করা হয়, এবং তার গানগুলি এখনও পাঞ্জাব এবং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। তিনি পাঞ্জাবি লোক সংগীতে তার অবদান এবং সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্মরণ করা হয়ে থাকে।
রেফারেন্স: