যখনি বলিভিয়ার কথা হয়, তখনই মনে পড়ে মুক্তির জন্য তর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। লাল মাটি, সবুজ সমতল, নীল আকাশ-এই তিনটি রঙই মনে পড়ে বলিভিয়ার। বলিভিয়ার হয়ে উঠেছিল স্প্যানিশ উপনিবেশ। কিন্তু সিমন বলিভারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৫ বছর সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৮২৫ সালের ৬ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে বলিভিয়া।
রাজধানী লা পাজ বলিভিয়ার সবচেয়ে বড় শহর। লা পাজে রয়েছে বিখ্যাত লিপকাল্যানো কাবুরগা চার্চ। এটি বলিভিয়ার সૌথমোস্ট চার্চ। টিটিকাকা হ্রদ বলিভিয়ার পেরো সীমান্তে অবস্থিত। টিটিকাকা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হ্রদ। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৮ হাজার ৩৭২ বর্গ কিলোমিটার। টিটিকাকা এবং প্যোপো হ্রদ দুটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু নৌপথ বলা হয়। এই হ্রদে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু নৌবন্দরও।
সালাদ দি ফ্রুটা বলিভিয়ার রাষ্ট্রীয় খাবার। সালাদ দি ফ্রুটায় থাকে অনেক ধরনের ফল এবং সিরাপ। বলিভিয়ার রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। এখানে রয়েছে প্রচুর তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, টিন, এবং লিথিয়াম। বলিভিয়ার আয়তন ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৮১ বর্গ কিলোমিটার।
বলিভিয়া একটি খুব দারিদ্র দেশ। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বলিভিয়ার প্রধান সমস্যা হচ্ছে অশিক্ষা, দারিদ্র্যতা এবং অপরাধ।
বলিভিয়ায় প্রচুর আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে টিটিকাকা হ্রদ, সুক্রে, পোটোসি, এবং লা পাজ। বলিভিয়া বিশ্বের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক বলিভিয়া ভ্রমণে যায়।