Ceigall India IPO GMP
বর্তমানে বাজারে চলছে সিগ্যাল ইন্ডিয়া আইপিওর জোর। আইপিও জিএমপি বা গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে 30-35 কোটি টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ আইপিও প্রাইসের সঙ্গে এই জিএমপি যোগ করলে শেয়ারের প্রাইস হবে প্রায় 330-335 টাকা। এতটা উচ্চ জিএমপি দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই জাগছে, আদৌ কি আইপিওর জন্য আবেদন করবেন?
এর উত্তর এককথায় দেওয়া মুশকিল। কারণ, এখানে হিসাবটা অনেকটা জুয়ার মতো। জিএমপি উচ্চ থাকলে আবেদন করলে প্রায় নিশ্চিতই আইপিও হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ল্যোটারিতে আপনার শেয়ার না এলেও, জিএমপি প্রিমিয়ামের দরুন শেয়ার বিক্রি করলেই আপনি লাভবান। কিন্তু, জিএমপি আবার সবসময় সঠিকও হয় না। দুটো-একটা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সিএনসির আইপিও এবং নাটকোর আইপিও। সিএনসির আইপিওয়ের ক্ষেত্রে জিএমপি ছিল 90-95 কোটি টাকা। কিন্তু শেয়ার বাজারে এসে তার দর দাঁড়ায় প্রায় 50 কোটি টাকায়। অর্থাৎ সেদিন আইপিও পাওয়ার পরে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে লস করেন। নাটকোর ক্ষেত্রেও জিএমপি ছিল প্রায় 70-75 কোটি টাকা। কিন্তু গত সপ্তাহে বাজারে শেয়ারটি এসেছে 30 টাকার কাছাকাছিতে। তাই এটাই জুয়া। কতটা রিস্ক নিতে পারছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
তবে সিগ্যাল ইন্ডিয়ার আইপিও বিষয়ে বলতে গেলে, এই সংস্থার ফান্ডামেন্টাল অতটা খারাপ নয়। বরং অনেক ভালোই বলা যায়। কোম্পানিটি তৈরি করে সলার মডিউল। বর্তমান সময়ে ক্লাইমেট চেঞ্জ মোকাবেলায় সারা বিশ্বে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সিগ্যালের মতো সংস্থাগুলির হাতে অঢেল সুযোগ।
আইপিওর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি শেয়ার 285-290 টাকায়। 30-35 টাকা জিএমপি যোগ করলে শেয়ারের দাম প্রায় 330-335 টাকা হয়। এটির আহ্বায়ক হল সিএলএসএ সেকিউরিটিজ ও সিআইসিএসেকিউরিটিজ। আইপিওর মাধ্যমে সংস্থাটি প্রায় 2,000 কোটি টাকা তোলার আশা করছে। আইপিও সাবস্ক্রিপশনের শেষ দিন 24 জুলাই।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগ্যাল ইন্ডিয়ার আইপিও খুব ভালো পারফর্ম করতে পারে। ল্যোটারিতে শেয়ার না এলেও, জিএমপি প্রিমিয়ামের কল্যাণে এই আইপিওতে সামান্য সময়ের জন্য আবেদন করেও লাভবান হওয়া সম্ভব।