ও প্রিন্স...জানো না...?/center




ভাবছিলেন বুঝি বিগ-বি'র নামে কি আবার গান বানানো হলো? না...না...এই বিগ-বি তো সেই বিগ-বি নন। এটা একটা আলাদা প্যাকেজ। এইটার রুচিও আলাদা, কণ্ঠও আলাদা। আসলে বিষয়টা কি জানেন?

উত্তর ভারতের বিখ্যাত এক মন্দিরে ঢোকার জন্য ভোজন প্রসাদ খেতে হয়। ভোজন প্রসাদ খাওয়ার পর বানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিগ-বি বিগ-বি মানে বাঁশের বিড়ি। আসলে বিড়ি তৈরির সেই বাঁশগুলো দেখতে অনেকটা অমিতাভ বচ্চনের সিগন্যাচার স্টাইলে পরা সাদা ধুতির মত।

কথিত আছে, প্রথমে সেই বিড়ির নাম ছিল বিড়ি-বি। কিন্তু তখন ভিন্ধা হয়েছিল। হিন্দিতে বিড়ি-বি শুনতে অনেকটা বাজে কথা মতো লাগে। তাই কেউ কেউ বলতে শুরু করল বাঁশের বিড়ি। কেউ কেউ আবার সহজ রেফারেন্সের জন্য বলতে শুরু করল বিগ-বি। কারণ, যে যায়াতে বিড়ি খায়, সে ভুলতেই পারে না বিগ-বিকে!

বিগ-বি খাওয়াটাও একটা রীতি। বিগ-বি বিড়ি ফুটানো যায় সলতে কিংবা জলের কলকে। তবে প্রকৃত রসাস্বাদ পাওয়া যায় সলতে ফুটিয়ে। তাও আবার আচার কিংবা খাবারের সঙ্গে।

এরকম জায়গায় যেতে আর খানকয়েকটা জিনিস খেতেই হয়। সেগুলো হল খান-কাম, জাঙ্গলি ভাঙ্গ খান-কাম হল বিশেষভাবে প্রস্তুত এক ধরনের স্যুপ। জাঙ্গলি ভাঙ্গ হল জঙ্গলে জন্মানো এক ধরনের শাক।

সেখানে গেলেই একটা কথা কানে আসবে, ও প্রিন্স...জানো না...? প্রিন্স হল সেখানকারই এক আদিবাসী গাইডের নাম। সেই প্রিন্স আর প্রিন্সের টিমের মুখে মুখে এই কথাই থাকে, ও প্রিন্স...জানো না...?

আর এই কথাই শুনলেই আর থাকা যায় না। একবার যে গেলাম, শুধু চেখ নিয়েই ফিরে আসা হলো না। শুধু চোখ নয়, মনও ভরে ফিরে এলাম। কি সুন্দর একটা জায়গা। কি সুন্দর একটা রাস্তা। কি সুন্দর একটা পরিবেশ। একবার গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না। এটাই মনে হবে...
একটুও দ্বিধা নেই, আবার আসবো এই।

বিগ-বি, খান-কাম, জাঙ্গলি ভাঙ্গ এবং প্রিন্সের সঙ্গে জঙ্গল। এই চারটির ব্যান্সটাই হলো সেই জায়গার আসল স্বাদ। এই ব্যান্সটাই হলো সেই অরণ্যের আসল রূপ। সেই অরণ্যের আসল স্বর। সেই গ্রামের আসল ইতিহাস। সেই জীবনের আসল গল্প।

যেতে ভুলবেন না...যেতেই হবে...শুধু জানতে...ও প্রিন্স...জানো না...?