Dortmund: একটি ফুটবল শহরের আবেগ
একটা অদ্ভুত শহর ডর্টমুন্ড। ফুটবল এখানে স্রোতের মতো বয়ে যায়। প্রতিটি কোণে, প্রতিটি গলিতে ফুটবলের স্পন্দন অনুভব করা যায়। এই শহরে ঘুরতে এলে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম এটা কেবলমাত্র একটি খেলা নয়। এটা একটা জীবনযাপন।
আমি একটা রাস্তায় হাঁটছিলাম, যেখানে দোকানের প্রতিটি জানালা ফুটবলারদের জার্সি দিয়ে সাজানো। এমনকি পোস্ট অফিসেও একটি জায়ান্ট সাইজের পুরুষ চরিত্রকে দেখলাম, ডর্টমুন্ড জার্সি পরে দাঁড়িয়ে যেন বলছে, "আপনার চিঠিপত্রের সাথে আপনার দলের জন্য কিছু ভালবাসাও নিয়ে যান।"
শহরের কেন্দ্রস্থলে, ওয়েস্টফালেন স্টেডিয়ামের সামনে। স্টেডিয়ামের আকার দেখে আমার চোখ কপালে উঠেছে। এটা বিশাল, প্রায় অলৌকিক। ম্যাচের দিনে এখানে 80,000 জন ফুটবল ভক্তদের কর্ণধারের মতো কোলাহল সৃষ্টি করে। ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।
ওয়েস্টফালেনস্টেডিয়ামের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে, আমি একদল বাচ্চাকে দেখলাম। তারা ফুটবল খেলছিল, কিন্তু তাদের কৌশল এবং দক্ষতা চমৎকার ছিল। যেন তারা জন্মগতভাবে ফুটবল খেলার শিল্প শিখেছে।
একটি ছোট ক্যাফেতে বসে, আমি ক্যাফে কর্মচারীদের সাথে কথা বললাম। তারা সবাই ফুটবলের উদাত্ত ভক্ত। তারা সপ্তাহের দিনগুলোয় কাজ করার কথা বললেন, কিন্তু তাদের চোখে উত্তেজনা ফুটে ওঠে যখন তারা শনিবারের ম্যাচের কথা উল্লেখ করে।
"এখানে কি সবাই ফুটবল ভালবাসে?" আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
"না," ক্যাফে কর্মচারী উত্তর দিল। "শুধুমাত্র যারা ফুটবল ভালবাসে তারাই এখানে বাস করে।"
ডর্টমুন্ডের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার আবেগ গভীর। এটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি জীবনযাপনের একটি উপায়। এটি একটি সম্প্রদায় ভাব, যেটি শহরকে একসাথে আবদ্ধ করে।
আমি ডর্টমুন্ড ছেড়ে যাবার সময়, আমি জানতাম যে আমি একটি অসাধারণ শহর দেখেছি। এটি একটি শহর যেখানে ফুটবল শুধুমাত্র একটি খেলা নয়। এটা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।