১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ভারতের ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক হয়। এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। কিন্তু এই হাইজ্যাকের ব্যাপারে এখনো অনেক রহস্যের জাল বিরাজমান রয়ে গেছে।
আমার মনে আছে সেদিন। আমি তখন সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার হস্টেলের রুমমেট আমাকে ঘটনাটির কথা বলল। আমরা সবাই তখন খবরটি শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বিমানটি কয়েকশো যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বিমানটির পথ পরিবর্তন করে কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাইজ্যাকাররা ছিল পাকিস্তানি। তারা দাবি করে যে, তারা কাশ্মীরের জন্য লড়াই করছে। তারা ভারতীয় সরকারকে তাদের মুক্তি দিতে বলে।
সরকার হাইজ্যাকারদের দাবি মেনে নেয় এবং তাদের মুক্তি দেয়। বিনিময়ে হাইজ্যাকাররা যাত্রীদের মুক্তি দেয়।
এই ঘটনাটির ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকে বলেন যে, সরকার হাইজ্যাকারদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত ছিল না। কারণ, এটি ভবিষ্যতে আরো হাইজ্যাককে উৎসাহিত করবে।
আবার অনেকে বলেন যে, সরকার ঠিকই করেছে। কারণ, যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে এটিই ছিল সবচেয়ে ভালো পথ।
আজও এই ঘটনাটির ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। যেমন, হাইজ্যাকাররা আসলেই কে ছিল? তাদের লক্ষ্য কী ছিল? এবং সরকার কি আরো ভালোভাবে এই পরিস্থিতিটি পরিচালনা করতে পারত?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো কখনোই পাওয়া যাবে না।
কিন্তু IC 814 হাইজ্যাকের ঘটনাটি আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। সেটা হল, সন্ত্রাসবাদ একটি ভয়ঙ্কর বিপদ।
আমাদের সবাইকে সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।