আমি সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে আজকের নিবন্ধটি লিখতে বসছি, যা আমাদের সকলের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। IC 814 কান্দাহার হাইজ্যাক সম্পর্কে অবশ্যই আপনারা সকলেই জানেন, আর এই ঘটনাটির সাথে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা আমি আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন আমি খুবই অল্প বয়স্ক ছিলাম, তবে সেই ভয়াবহ রাতের স্মৃতি আমার মনের মধ্যে এখনও অত্যন্ত সজীব। আমার বাবা তখন অসুস্থ ছিলেন এবং আমরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার জন্য কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলাম। আমি, আমার মা এবং আমার ছোট বোন বিমানটিতে ছিলাম।
বিমানটি দিল্লির কাছে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে, পাঁচজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিমানটিকে হাইজ্যাক করে নেয়। তারা বিমানটিকে আমদাবাদ, লাহোর এবং দুবাই নিয়ে যায়, এবং তারপর অবশেষে আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবতরণ করায়। আমরা প্রায় সাত দিন ধরে কান্দাহারে ছিলাম, যেখানে আমাদেরকে বন্দী রাখা হয়েছিল এবং আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল।
এই অভিজ্ঞতাটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। আমরা ভয় এবং অনিশ্চয়তায় দিন কাটিয়েছিলাম, না জেনে আমাদের ভবিষ্যত কী হবে। সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত নিষ্ঠুর ছিল, এবং আমরা প্রতি মুহূর্তে আমাদের জীবনের জন্য ভয় পেতাম। তবে, এই দুঃসময়েও, আমি আমার মা এবং বোনের শক্তি এবং সাহসে অভিভূত হয়েছিলাম। তারা আমাদের সকলকে সাহস এবং আশা দিয়েছিলেন।
অবশেষে, ভারত সরকারের তৎপরতার কারণে আমাদের মুক্তি করা হয়েছিল। আমাদের বিনিময়ে তিনজন সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমি জানি না যে এই সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল কিনা, কিন্তু আমি আনন্দিত যে আমরা বাড়ি ফিরতে পেরেছিলাম।
IC 814 কান্দাহার হাইজ্যাক একটি দুঃখজনক ঘটনা ছিল, যা আমাদের সকলকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এই ঘটনাটি আমাদের সাহস, স্থিতিস্থাপকতা এবং মানবিকতার শক্তিও দেখিয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের সকলকে সন্ত্রাস এবং সহিংসতার ভয়াবহ বাস্তবতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, এবং আমাদের অবশ্যই শান্তি এবং সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
আমি এই নিবন্ধটির মাধ্যমে IC 814 কান্দাহার হাইজ্যাক সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটি ভাগ করতে পেরে খুবই আনন্দিত, এবং আমি আশা করি যে এটি এই ঘটনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আমরা চাই না যে এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটুক, এবং আমাদের সকলের শান্তি এবং সহনশীলতার জন্য কাজ করতে হবে।