ভারত বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটা কীভাবে জিতল ভারত? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে ম্যাচের শুরুতে।
ম্যাচের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল। প্রথমে ভারতীয় বোলারদের সামনে মার্কিন ব্যাটসম্যানরা কিছুটা সাবধানে খেলেন। কিন্তু ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিনদের ধারাবাহিক রান আসতে শুরু করে। বিশেষ করে এইচ. আহমেদ ও জে. রিচার্ডসনের হাত ধরে দলের স্কোরবোর্ড দ্রুত ফুলে উঠতে থাকে।
মার্কিনদের এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে ভারতীয় বোলাররা কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা দলকে ঠাণ্ডা মাথায় রাখার চেষ্টা করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় বোলাররা ধীরে ধীরে নিজেদের রিদম ফিরে পান।
ইনিংসের শেষের দিকে ভারতীয় বোলাররা মার্কিনদের ব্যাটিংকে ধীর করে দেন। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত ওভারে মাত্র 150 রান করে।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও শুরু থেকেই সাবধানে খেলেন। কিন্তু মার্কিন বোলারদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ের সামনে তারাও কিছুটা রান করতে হিমশিম খান।
ম্যাচের এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, মার্কিনরা হয়তো জিতে যাবে। কিন্তু ঠিক তখন ভারতের সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলি মাঠে নামেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে যেন ভারতীয় দলের মধ্যে নতুন উদ্যমের জোয়ার বয়ে যায়।
কোহলির সঙ্গে শুরু থেকেই ভালো পার্টনারশিপ করেন শুভমন গিল। এই দু'জনের ব্যাটিংয়ে ভারত ম্যাচে ফিরে আসে। কোহলি ও গিলের সেঞ্চুরির সাহায্যে ভারত ম্যাচটি জিতে নেয়।
এই ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কারণ হলো তাদের বোলিং। ইনিংসের শেষের দিকে ভারতীয় বোলাররা মার্কিনদের ব্যাটিংকে বেশ ধীর করে দেন। ফলে মার্কিনরা বড় স্কোর করতে পারেনি।
এছাড়াও, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে ভারসাম্য ছিল। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচের দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন। বিরাট কোহলি ও শুভমন গিলের জুটি দলকে জয়ের দিকে নিয়ে গেছে।
সর্বশেষে, ভারতীয় দলের জয়ের জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্পের কথা বলতে হয়। ম্যাচের কোনো একটি মূহূর্তেও তারা হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই দৃঢ়তা জয় এনে দিয়েছে।