International Coffee
International Coffee Day
আজ বিশ্ব কফি দিবস। আন্তর্জাতিক কফির জন্য সচেতনতা বাড়ানো এবং উদযাপন করাই এই দিবসের উদ্দেশ্য। সারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো জায়গায় মিছিল আবার কোথাও আবার পিকনিকের আয়োজনও হয়।
তবে কফির ইতিহাস অনেক পুরনো। কিংবদন্তি অনুযায়ি, ইথিওপিয়ার এক চাষী বন্য ভেড়াদের কফি গাছের বেরি খেতে দেখে নিজেও খান। এতে তার শরীরে অন্যরকম প্রাণচঞ্চলতা অনুভব করেন। পরবর্তীকালে ইয়েমেন ও আরব উপদ্বীপে কফি চাষ শুরু হয়। সুফি সাধকরা কফিকে রাতের নামাযে নিজেদের ঘুম ভাঙানোর জন্য পান করতেন।
আরব থেকে পানীয়টি ইউরোপেও জনপ্রিয় হয়। তবে প্রথমদিকে চিকিৎসার কাজেই কফির ব্যবহার হয়। পরে এটি একটি সাধারণ পানীয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বর্তমানে কফি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে একটি। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, প্রতিদিন কফি পানের ফলে কিছু ধরনের ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে। কফি পানে মেজাজ ও স্মৃতিশক্তিও ভালো হয়। তবে অতিরিক্ত কফি পানের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
আর কফি নিয়ে নানা রকম বিতর্কেরও শেষ নেই। কোনো কোনো গবেষণায় বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত কফি পানের ফলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। আবার কোনো কোনো গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কফি পানে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাই কফি পান করতে হলে সীমিত আকারে করতে হবে।
তবে কফি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। সকালে ঘুম ভাঙাতে বা দুপুরে কাজের ফাঁকেও কফি পান করে থাকেন। এই অভ্যাসের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। তবে অতিরিক্ত কফি পানের অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।