Jeemain.nta
আজ আমি জেএমইই মেইন নিয়ে কথা বলবো। যে ছেলে মেয়ে পড়াশোনায় মেধাবী তারা এই প্রবেশিকা পরিক্ষার মধ্যে দিয়ে ভারতের সবচেয়ে সেরা কতগুলি ইঞ্জিনেরিং কলেজে যেতে পারে।
আমি সবার আগে বলবো এই পরীক্ষার ফর্ম কীভাবে ভর্তি করতে হয়। এই পরীক্ষার ফর্মটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তোমাদের জন্য। তোমরা জানো এই ফর্মের মধ্যে দিয়েই তোমাদের পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। এবং তোমরা যে পরীক্ষাটা দিচ্ছো সেই পরীক্ষাটা সিবিটি হচ্ছে নাকি পেন ও পেপার এই বিষয়টাও জানিয়ে দিতে হয়। এই পরীক্ষা দুটো রকম দুটি শিফটে হয়। এই দুটি শিফটের মধ্যে যদি একবার ভুল করে কোন শিফটে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় দ্বিতীয়বার আর নতুন করে চেঞ্জ করা যাবে না। তাই তোমরা আগে থেকে ভালো করে জেনে নিও পরীক্ষা কখন হচ্ছে কোন শিফটে এবং কোন ধরনের হচ্ছে।
এবার জানবো পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে।
এই পরীক্ষার সিলেবাসটি সিবিএসই এর টুয়েল্ফ মানে দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাসের মধ্যে থেকে তৈরি করা হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে থেকে। তোমাদের একটা কথা জানিয়ে রাখি সিলেবাসের সঙ্গে তোমরা যদি জেএমইই এর প্রিভিয়াস ইয়ারস পেপারগুলো দেখো, তাহলে তোমাদের এর একটা ভালো ধারণা থাকবে কোন টপিক গুলো সবচেয়ে বেশী আসে।
তোমরা সবাই জানো এই পরীক্ষাটা দুটি স্তরে হয়ে থাকে। প্রথম ধাপটা হচ্ছে মেইন পরীক্ষা। মেইন পরীক্ষায় যারা ভালো স্কোর করবে তারা দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা দিতে পারবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার নাম হচ্ছে অ্যাডভান্সড পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটা তারা দিতে পারে যারা জেনারেল ক্যাটাগরির সঙ্গে সঙ্গে যাদের সীট রিজার্ভ করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতিটি ক্যাটাগরির কতগুলি শতাংশ শিক্ষার্থী ভালো স্কোর করেছে। তাদের তারা অ্যাডভান্সড পরীক্ষার জন্য সিলেক্ট করে। অ্যাডভান্সড পরীক্ষার পরে তাদের এনআইটি, আইআইটি-র মতো সবচেয়ে ভালো ইঞ্জিনেরিং কলেজগুলোতে ভর্তি করা হয়।
তোমরা সবাইকে আমার মত একটা কথা বলতে চাই। তা হল এই পরীক্ষার প্রস্তুতি যদি সঠিকভাবে নিয়ে থাকো তাহলে উত্তরটা অনেক সহজ। প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তোমাদের সবার সঙ্গে কিছু কথা শেয়ার করবো। পড়ার সময়টা ভালো করে ঠিক করে নাও। কোন বিষয়টা কত সময় পড়বে তার জন্য একটা সময় নির্ধারণ করে নাও। আর হ্যাঁ প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে প্রাকটিস করো। প্রাকটিস করার কোনো বিকল্প নেই। যত বেশী প্রাকটিস করবে তত সহজ মনে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্রামটা ভালো করে হবে।
তোমরা সবাইকে আমার শেষ কথাটা হচ্ছে এই পরীক্ষাটা দিচ্ছো সত্য কিন্তু এই পরীক্ষা দিয়ে যখন কলেজে ভর্তি হবে তখন মনে রেখো কলেজটাই সব শেষ। কলেজ থেকে মনের মত ডিগ্রি নিতে হবে। তাই লেখাপড়ায় কখনো অবহেলা করো না। আর হ্যাঁ সব সময় ভালো ভালো বই-পত্র পড়ো। এবং সব সময় ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করো। সবাইকে ধন্যবাদ।