এই ক্রীড়াটি মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে খেলা হয়। খো-খো মূলত দুটি দলের মধ্যে খেলা হয়। প্রতিটি দলে ১২ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলার সময় ৯ জন খেলোয়াড় মাঠে থাকে, আর বাকি তিনজন বদলি খেলোয়াড় হিসাবে থাকে।
মাঠটি দুটি অংশে বিভক্ত। একটি অংশকে “ছক” বলা হয় এবং অন্য অংশকে বলা হয় “দিজাঙ্ক"। ছকটি হল মাঠের মাঝখানে অবস্থিত বড় বৃত্তটি। ছকের চারপাশে আটটি কলাম রয়েছে, যাকে পোল বলা হয়। পোলগুলোর মধ্যে দুটি পোলকে “চিরুত্তি” বলা হয়। চিরুত্তি সাধারণত মাঠের দুই প্রান্তে অবস্থিত।
খো-খো খেলা দুটি ইনিংসে খেলা হয়। প্রতিটি ইনিংসে দুটি অংশ থাকে। প্রথম অংশে, একটি দল আক্রমণ করে এবং অন্য দল রক্ষা করে। দ্বিতীয় অংশে, ভূমিকাগুলো বদলে যায়।
আক্রমণকারী দলের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব বেশি রক্ষাকারী খেলোয়াড়কে আউট করতে হয়। রক্ষাকারী দলের আক্রমণকারী খেলোয়াড়দেরকে আউট হওয়া থেকে রোধ করতে হয় এবং যতটা সম্ভব বেশি আক্রমণকারী খেলোয়াড়কে ছুঁয়ে ফেলতে হয়।
খেলার মূল লক্ষ্য হল যতটা সম্ভব বেশি বিরোধী খেলোয়াড়দের আউট করা এবং যতটা সম্ভব কম সংখ্যক খেলোয়াড়দের আউট হওয়া।
খো-খো একটি দ্রুতগতির এবং উত্তেজনাপূর্ণ খেলা। এটি দলগত কাজ, কৌশল এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। ভারতে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই খেলাটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এবারের খো-খো বিশ্বকাপটি ২০২৫ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দল অংশ নেবে।
এই প্রতিযোগিতাটি খো-খো খেলার জন্য একটি বিশাল মঞ্চ হবে। এর মাধ্যমে এই খেলার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।