Kingdom of the Planet of the Apes




মানুষের গ্রহে এপসের রাজত্ব, এই চিন্তাই শিহরণ জাগায়, নয় কি? তাই তো আমার প্রত্যাশাও ছিল আকাশচুম্বী। ফিল্মটির প্রথম কয়েক মিনিটেই আকৃষ্ট হই। ক্যামেরার লেন্সের সামনে উন্মোচিত হয় এক অদ্ভুত বনালয়, সেখানে চলাফেরা করে মানুষাকৃতি অথচ সেসব ধূসর, লোমশ- মানুষ নয়, তারা বানর! এবং তারাই রাজত্ব করে মানুষের গ্রহে।

সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ম্যাট রিভস, যিনি এর আগে প্রশংসিত ফিল্ম "ক্লোভারফিল্ড" এবং "লেট মি ইন" নির্মাণ করেছেন। এবার তিনি সেই পুরনো "প্ল্যানেট অফ দি অ্যাপস" ফ্র্যাঞ্চাইজকে নতুন রূপে তুলে ধরেছেন। এই চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজের একটি পুনরুজ্জীবন এবং এটি মূল 1968 সালের চলচ্চিত্রের একটি প্রিক্যুয়েল। ফিল্মটি সিজার নামক একটি বুদ্ধিমান চিম্পাঞ্জির গল্প বলে, যে তার জাতির জন্য একটি নতুন বাড়ি খুঁজতে একটি যাত্রা শুরু করে।

সিজারের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন অ্যান্ডি সার্কিস। তার পারফরম্যান্সটি ইমোশন এবং বুদ্ধিমত্তার এক আশ্চর্যজনক মিশ্রণ। সার্কিসের মোশন ক্যাপচার কাজটি অসাধারণ, এবং তিনি সিজারকে একটি সহানুভূতিশীল এবং নির্ধারিত চরিত্র হিসাবে জীবন্ত করে তুলেছেন।

অন্যান্য বিখ্যাত অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন উডি হ্যারেলসন, প্রশাসক হিসাবে, যিনি মানুষ এবং বানরদের মধ্যে একটি যুদ্ধকে উস্কে দেয়; স্টিভ জান, সিজারের আদি পিতা হিসাবে; এবং মিসায়েল হাসচিংস, সিজারের বানর বন্ধু রকেট হিসাবে।

ফিল্মটির একটি শক্তিশালী কাহিনী রয়েছে যা আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুগ্ধ রাখবে। এটি একটি চিন্তা-প্রবোধক চলচ্চিত্র, যা বর্ণবাদ, সহিংসতা এবং ক্ষমতার প্রকৃতির মতো বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। তবে, এটি একটি কর্মকান্ডের চলচ্চিত্রও, যাতে প্রচুর অ্যাকশন এবং সাসপেন্স রয়েছে।

ভিজ্যুয়াল ইফেক্টগুলি অত্যাশ্চর্যজনক এবং সেগুলি চলচ্চিত্রটিকে একটি সত্যিকারের ইমারসিভ অভিজ্ঞতায় পরিণত করে। চরিত্রগুলি বাস্তবসম্মত এবং বিশ্বাসযোগ্য, এবং সেগুলির পরিবেশ দর্শনীয়।

সব মিলিয়ে, "কিংডম অফ দ্য প্ল্যানেট অফ দি অ্যাপস" একটি দুর্দান্ত চলচ্চিত্র যা অবশ্যই দেখার মতো। এটি একটি চিন্তা-প্রবোধক এবং কর্মকান্ডের একটি দুর্দান্ত সংমিশ্রণ, এবং এটির অত্যাশ্চর্যজনক ভিজ্যুয়াল ইফেক্টগুলি আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে।