KKR ও লক্ষ্মী




গ্রাউন্ডে নেমেছে দুই কে কে আর, যুদ্ধ করেছে দুই লক্ষ্মী। কে কে আর-এর লক্ষ্মী ফিরেছে দলের সঙ্গে খেলতে। আর লক্ষ্মী-র কে কে আর ঘরে তুলেছে টুর্নামেন্টের শিরোপা।

স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদ চড়ে। প্রায় ২২ হাজার দর্শকের সামনে অভূতপূর্ব লড়াই। গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত দর্শক। তাঁদের সমর্থনের জোয়ারে ভাসছে দুই দলই।

ম্যাচটা কুইজ দিয়ে শুরু। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে কে কে আর। শুরু থেকেই তাদের রান তোলা দারুণ। গত ম্যাচে দলের হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা রাহুল ত্রিপাঠী আজ অভূতপূর্ব ফর্মে। মাত্র ২৪ বলে ৪৭ রান তুললেন তিনি। কুটুরে ব্যাটিং দেখালেন অধিনায়ক শ্রেয়স অয়্যর। অপরাজিত ৭৪ রানের পালা তার। ১৬ ওভার হতেই ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে দল।

ব্যাটিংয়ে এত ভালো করার পর বোলিংয়ে হতাশ করেনি কে কে আর। শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাদের স্পিন আক্রমণে ছিটকে গেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটিং লাইনআপ। স্পিনার কামলেশ নগরকোটি ও সুন্দরকে টানা দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন। তবে প্রতিরক্ষার মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠেন অলরাউন্ডার স্যাম বিলিংস। তিনি একাই তরুণ ব্যাটার আয়ুশ বাদনিকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন। বাদনির আগে ফিরে গেছেন ক্রিস লিন ও দীপক হুডা।

এর পর ম্যাচে দুর্দান্ত রাইজ করেন লক্ষ্মী। কে কে আর বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অভূতপূর্ব ফর্মে। লালিত যাদব, মনীশ পান্ডে, ক্রান্তিকরজুনগেহারি এবং মার্কাস স্টয়নিসের সঙ্গে লড়াই করলেন তিনি। লক্ষ্মী অভূতপূর্ব ইনিংস খেললেন। ৩৯ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭০ রান নিয়ে। স্টেডিয়ামে প্রতিধ্বনিত হল কেবল লক্ষ্মীর নাম।

ফলাফল কি হবে তা তখনও অনিশ্চিত। শেষ ওভারের শেষে ম্যাচ চলে টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে জিতে গেল কে কে আর। কারণ দুই রানে কম মারল লক্ষ্মী।

কে কে আর জেতার দাবিদার হয়ে উঠল। আবারও প্রমাণ করল ক্রিকেটের দুনিয়ায় অসম্ভব কিছুই নেই। টাইব্রেকার পর্যন্ত ম্যাচ স্নায়ুযুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিল। এই জয় কে কে আর এবং তাদের ভক্তদের জন্য ভবিষ্যতের লড়াইয়ে প্রেরণা দিল।