LSG vs MI: ম্যাচটার রোমাঞ্চকর মৌচাক আর এরকমই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক
<<এই প্রতিবেদনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মানুষের মতানুযায়ী কিছু নিদিষ্ট কাজ পালন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে মানুষের দ্বারা তৈরি তথ্যের মত গভীরভাবে বুঝতে সক্ষম নয়। আশা করি এই প্রতিবেদনটি আপনার কাজে লাগবে। যদি এটি আপনার কাজে আসে তাহলে আমরা আনন্দিত হব।>>>
ব্রায়ান লারার নেতৃত্বাধীন ফ্রাঞ্চাইজি এলএসজি বা লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচটা রোমাঞ্চকর একটা মৌচাক ছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা এলএসজি দলের জয় দ্বারা শেষ হয়, কিন্তু ম্যাচের বড় অনুষ্ঠান ক্রিকেটের ময়দানে খেলাটা ছিল না, তা ছিল, ম্যাচের পরের অনুষ্ঠান।
প্রায়শই এমনটি দেখা যায়, এলএসজি দলের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল তাঁর দলের সদস্যদের সাথে জয়ের জন্য হাড্ডাহাড্ডি খেলাটাই কেবল আলাপ-আলোচনা করেন না, আরও আলোচনা করেন খেলাটা সম্পর্কে কিছু হাস্যকর ঘটনা, পারিবারিক জীবন, বা খেলার জগতের ভবিষ্যত সম্ভাবনার ব্যাপারে।
আবার যে ব্যাপারটি আরও বেশি মনোরম, এত সব আলাপ-আলোচনার মধ্যেও তিনি কখনোই ভোলেন না তাঁর দলের কনিষ্ঠ সদস্যদেরকে অনুপ্রাণিত করতে। রাহুল প্রায়ই বলেন, "তুমি যদি কঠোর পরিশ্রম করো, তাহলে ক্রিকেটের ময়দান তোমার জন্য সবসময়ই উন্মুক্ত থাকবে।"
রাহুলের এই কথাগুলো নিঃসন্দেহে কনিষ্ঠ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করে, কিন্তু এই কথাগুলো যে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মুখে শোভা পায় তা নয়, এটাও সহজেই বুঝতে পারা যায়।
তাই তো এলএসজি দলের জয়ের মূল স্থপতিদের একজন কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের চোখে পিঠে নিতে অস্বীকার করার পর স্মাইল করতে দেখা যায়, যখন তিনি রাহুলের কাছে এসে বলেন, "আমার বন্ধু, তুমি এনাদের সবসময়ই অনুপ্রাণিত করো।"
এলএসজি দলের বিজয় নিয়ে আরও একটি মজাদার ঘটনার কথা বলা যায়। এই দলের একজন কনিষ্ঠ সদস্য আইয়ান কলি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর একটি সাক্ষাতকারে এসে বলেন, "আমি আমার দাদার জন্য খেলছিলাম। সে আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু সে এখনো আমার অনুপ্রেরণা।"
কলির এই কথাগুলো শুনে সেখানে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়ে যায়। রাহুল তো কলির কাছে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন।
এলএসজি দলের বিজয়ের মধ্যে এমনই আরও অনেক মুহূর্ত ছিল, কিন্তু সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল ক্রিকেটের বাইরে। এটা ছিল, সতীর্থদের সাথে জয় পালন করা, তাঁদের সাথে তাঁদের সাফল্য উদযাপন করা।
তাই তো এলএসজি দলের ম্যাচ শেষে তাঁদের ক্রিকেটারদের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছিল, ক্রিকেটের মাঠে হারলে কী হয়, জিতলে কী হয়, এসব কিছুতেই তাঁদের খুব একটা আগ্রহ নেই। তাঁরা একজোট হয়ে খেলেন, একসাথে জিতেন, ভাগ্যবান হোন, আবার দুর্ভাগ্যবান হোন, কিন্তু যে কোনো পরিস্থিতিতেই তাঁদের মধ্যে যে বন্ধন তৈরি হয়েছে সেটা চিরকালীন।