ছোটবেলা এবং ক্রিকেটে আগ্রহ:
১৯৯৭ সালের অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখে খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার অদম্য আগ্রহ ছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।আন্তর্জাতিক অভিষেক:
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে মেহেদী হাসান মিরাজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ম্যাচটিতে তিনি ৮ নম্বরে ব্যাট করে ১৯ রান করেন এবং বোলিং করতে নেমে ৫ ওভারে ৬২ রান দিয়ে কোন উইকেট নিতে পারেননি।সফলতার ধারাবাহিকতা:
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ আর কখনও পেছনে ফিরে তাকাননি। তিনি তার বোলিং এবং অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছেন। তিনি টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিনটি ফরম্যাটেই তার সেরাটা দিয়েছেন।বোলিং দক্ষতা:
মেহেদী হাসান মিরাজ একজন ডানহাতি অফ-ব্রেক বোলার। তার বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হল তার ভেরিশন। তিনি লাইন, লেন্থ এবং পেসকে দুর্দান্তভাবে পরিবর্তন করে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতে পারেন। তিনি স্পিন এবং ফ্লাইটের দুর্দান্ত কমান্ড করেন, যা তাকে সব ধরনের পিচে কার্যকর করে তোলে।অলরাউন্ড দক্ষতা:
বোলিংয়ের পাশাপাশি মেহেদী হাসান মিরাজ একজন দক্ষ ব্যাটসম্যানও। তিনি মাঝারি ক্রমে ব্যাট করেন এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রান সংগ্রহ করতে পারেন। তার ব্যাটিং স্টাইল আক্রমণাত্মক এবং তিনি বড় শট খেলার জন্য পরিচিত।সাম্প্রতিক সাফল্য:
সাম্প্রতিক সময়ে মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে তিনি প্রথম ইনিংসে ৭৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক ওয়ানডে সিরিজে তিনি ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার নির্বাচিত হন।ভবিষ্যত সম্ভাবনা:
মাত্র ২৬ বছর বয়সে মেহেদী হাসান মিরাজের সামনে দীর্ঘ এবং সফল ক্যারিয়ার রয়েছে। তার দক্ষতা এবং দলের প্রতি অঙ্গীকার তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আশা করা যায়, তিনি ভবিষ্যতেও অনেক সাফল্য অর্জন করবেন এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।