Navaratri: আলোর উৎসব, আশার উৎসব, শক্তির উৎসব




নবদুর্গার উপাসনার পবিত্র উৎসব নবরাত্রি শরতের শুরুতে ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যার মতোই গম্ভীর, পবিত্র এবং উজ্জ্বল.

হিন্দু শাস্ত্রমতে, নবরাত্রির নব্যতা রয়েছে নবসংকল্পে, নবশক্তিতে, নবাশায়। অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির, অধর্মের ওপর ধর্মের, অন্যায়ের ওপর ন্যায়ের জয় যজ্ঞের মধ্য দিয়ে অর্জন করা হয় নবরাত্রিতে।

নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবে দশমীর দিনে বিজয়দশমী পালন করা হয়। অসুর রাজ রাবণের ওপর শ্রীরামচন্দ্রের বিজয়ের উদযাপন হিসেবে পালন করা হয় বিজয়াদশমী। এই দিনে অস্ত্রপূজা বিশেষভাবে গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে।

নবরাত্রিতে বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করেন অনেকে, যেমন:

  • সাত্ত্বিকতা: নবরাত্রির দুর্গাপূজায় আমিষ ভক্ষণ নিষিদ্ধ
  • লসুন-পেঁয়াজ: এই দুইটি উপাদানও এড়িয়ে চলেন অনেকে
  • মদ্যপান এবং ধূমপান: নেশাজাতীয় দ্রব্য এই সময়ে পরিহার করাই শ্রেয়
  • মন-মেজাজ ঠিক রাখা: প্রসন্ন মন এবং ভালো চিন্তা নবরাত্রির পুণ্যবৃদ্ধি করে
  • দান-ধর্ম: অর্থ, খাদ্য ও বস্ত্রের মতো জিনিস দান করা এই সময়ে অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়

নবরাত্রির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান শুভ কাজের শুভেচ্ছাও। এই সময়ে অনেকেই ঘরদোর সাজানো, আলো জ্বালানো বা পূজোর আয়োজন করেন। এই সব শুভ কাজ নবরাত্রির পুণ্যবৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়।

নবরাত্রির প্রথম দিনে হয় ঘটস্থাপন। পাঁচটি মাটির প্রদীপ বা মৃৎপাত্রে পাঁচ প্রকার শস্য বপন করে স্থাপন করা হয়। এই শস্যগুলিকে দেবীর প্রতীক হিসাবে পুজো করা হয়। প্রতিদিন একটা করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। নবমীর দিনে সবগুলি প্রদীপ একসঙ্গে জ্বলানো হয়।

নবরাত্রির দিনগুলিতে দুর্গা পূজোর পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মী এবং দেবী সরস্বতীর পুজোও করা হয়। নবরাত্রির শেষ দিনে বিজয়াদশমী তিথিতে সিন্দুর খেলা হয়ে থাকে।

নবরাত্রি আলোর উৎসব, আশার উৎসব, শক্তির উৎসব। এই উৎসব অন্ধকারকে দূর করে, আলো ছড়ায়। নবরাত্রি শুধু একটি উৎসব নয়, এটি জীবনের এক নতুন যাত্রার প্রতীক।