Neeraj Chopra best t
Neeraj Chopra best throw
'তোমার পিঠে কোনও আঘাতের দাগ আছে?,' পত্রকারের প্রশ্নের মুখে নিরাশ ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন নীরজ চোপড়া। শুধু পিঠই নয়, অনেক আঘাতেই জর্জরিত তাঁর দেহ। আঘাতের কথা বলতে বলতেই তাঁর চোখে জল জমে এল।
২০১৮-র কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতা ছিল এই তরুণ অ্যাথলিটের জন্য মাইলফলক। কিন্তু সেই পদকের পেছনে রয়েছে রক্ত, ঘাম আর কত কষ্টের গল্প কেউ জানে না। কমনওয়েলথের মাত্র দু’মাস আগে আঘাতের কবলে পড়েছিলেন তিনি। চলতে পারতেন না দু’দিন। কিন্তু দেশের সম্মানের কথা ভেবে আঘাত লুকিয়েই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলে এসেছিলেন নীরজ। ১৫ নম্বর ছিল তাঁর পারসোনাল বেস্ট। ১৫ নম্বর ছুঁতে পারলেই সেটাও এক ইতিহাস হয়ে যেত। কিন্তু কমনওয়েলথে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ৮৬ দশমিক ৪৭ মিটার। তাও আবার আঘাত সত্ত্বেও।
১৯ বছর বয়সের এই তরুণের সফলতা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। চলতি বছরের এশিয়ান গেমসেও তাঁকে আঘাত কাবু করতে হয়েছিল। ডাক্তারের কথায় কান না দিয়েই আবারও রাজ্যের সম্মানের কথা ভেবে, ডাক্তারের কথা ভুলে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছিলেন। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধান। ১৫ নম্বর ছুঁতে পারলেই এখানেও ইতিহাস হত। কিন্তু তিনি ছুঁয়ে গেলেন ৮৮ দশমিক ০৬ মিটার। অকল্পনীয় অর্জন।
এই সব ঘটনার কথা মনে করেই নীরজ চোপড়ার চোখে জল। তাঁর কথায়, "আমি দেশের সম্মানের জন্য খেলি। আঘাতের কথা ভাবি না। দেশের সম্মানের জন্য আমি প্রতিযোগিতায় নামি।"
তবে নীরজ চোপড়া একাই নন যে তাঁর দেহের যন্ত্রণাকে জয় করে দেশকে উপহার দিয়ে গেছেন। এরকম আরও কত গল্প, কত ইতিহাসের কথা! আজ আমরা তাঁদের কথা জানি না, কিন্তু তাঁদের অবদান ভুললে চলবে না। তাঁরা সবাই আমাদের গর্ব।