Nirjala Ekadashi: ভক্তি আর নিষ্ঠার অতুলনীয় উদযাপন




একাদশী হল হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রতিটি পক্ষের (চন্দ্র মাসের অর্ধেক) একাদশ তিথি। এই দিনটিকে শ্রী বিষ্ণুর উপাসনায় উৎসর্গ করা হয়েছে, যিনি ভগবানের সংরক্ষণকারী স্তম্ভ বলে বিশ্বাস করা হয়।
একাদশীগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল নির্জলা একাদশী, যা জৈষ্ঠ মাসের শুক্লা পক্ষের একাদশ তিথিতে পালিত হয়। সংস্কৃত ভাষায়, "নির্জলা" অর্থ "জলহীন", যা ইঙ্গিত দেয় যে এই দিনে ভক্তরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলও গ্রহণ করেন না।
নির্জলা একাদশীকে "বিষ পরিণী একাদশী"ও বলা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, এই দিনে শ্রী বিষ্ণু সাগর মন্থন থেকে নির্গত হলাহল বিষ পান করেছিলেন, যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারত। বিষকে নিষ্ক্রিয় করতে, বিষ্ণুর ঘামের বিন্দুগুলি থেকে গঙ্গা নদী সৃষ্টি হয়েছিল, যা পরবর্তীতে পৃথিবীকে বিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছিল।
নির্জলা একাদশীর উপবাসটি খুব কঠিন হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে এর আধ্যাত্মিক উপকারিতাগুলি অনেক বলে মনে করা হয়। এই দিনে উপবাস করার ফলে পাপের পরিহার, পুণ্যের অর্জন এবং শ্রী বিষ্ণুর অনুগ্রহ লাভ করা যায়।
উপবাস ছাড়াও, নির্জলা একাদশীতে ভক্তরা পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে রাধা-কৃষ্ণের পূজা করেন, মন্ত্র জপ করেন এবং শাস্ত্র পাঠ করেন। সন্ধ্যার সময়, তারা উপবাস ভেঙে ফল, সবজি এবং সাত্বিক খাবার খান।
নির্জলা একাদশী ভক্তি এবং নিষ্ঠার একটি অতুলনীয় উদযাপন। এটি শ্রী বিষ্ণুর সাথে যুক্ত হওয়ার এবং তার অনুগ্রহের আশীর্বাদ লাভ করার একটি অনন্য সুযোগ। যদিও উপবাসটি কঠিন হতে পারে, তবে আধ্যাত্মিক সুবিধাগুলি ভক্তদের এই কঠোর তপস্যাকে অসাধারণভাবে সার্থক করে তোলে।
এই পবিত্র দিনে, নিজেকে শ্রী বিষ্ণুর প্রতি উৎসর্গ করুন, মন, দেহ এবং আত্মা দিয়ে উপবাস করুন, এবং তার অনুগ্রহের আশিস গ্রহণ করুন।