একটি বিশ্বমঞ্চ যেখানে ক্রীড়াবিদরা তাদের দেশের পতাকা উড়িয়ে গর্বের সাথে দাঁড়ান, যেখানে গানের সুরে মিশে যান সব ভেদাভেদ, যেখানে বিশ্ব একত্রিত হয় প্রতিযোগিতা ও মৈত্রীর উদযাপনের জন্য - এটিই অলিম্পিক.
প্রাচীন গ্রীসে খ্রিস্টপূর্ব 8 শতকের শুরুতে অলিম্পিক গেমসের উৎপত্তি ঘটেছিল। প্রতি চার বছর অন্তর, গ্রীকরা তাদের দেবতা জিউসের সম্মানে অলিম্পিয়া নামক একটি পবিত্র স্থানে এই গেমস অনুষ্ঠিত করত। গেমসে দৌড়, কুস্তি, ডিসকাস ও অ্যাকোন (ভाला) নিক্ষেপের মতো ক্রীড়া অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অলিম্পিক গেমস কেবল একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। গেমসে শিল্প, সঙ্গীত ও নাটকের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হত। গেমসকে গ্রীক শহর-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে শান্তির সময় হিসেবে বিবেচনা করা হত এবং অলিম্পিক ট্রুসের সময় যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ থাকত।
আধুনিক অলিম্পিক গেমসের পুনরুজ্জীবন 1896 সালে এথেন্স, গ্রীসে হয়েছিল। ফরাসি শিক্ষাবিদ পিয়ের দ্য কুবার্তাঁ এই গেমসকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন। প্রথম আধুনিক অলিম্পিক গেমসে মাত্র 14টি দেশ এবং 241 জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেছিল।
তারপর থেকে, অলিম্পিক গেমস বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক দেখা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। গেমসের জনপ্রিয়তা কেবল ক্রীড়ার প্রত্যাশার উপরে নয়, বরং এর সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্বের উপরেও নির্ভর করে।
অলিম্পিক গেমস ক্রীড়া সম্পর্কে কেবল নয়, জীবন সম্পর্কেও আমাদের বহু কিছু শেখায়। এটি শেখায় দৃঢ়তা, সংগ্রাম, সাহস এবং সর্বোপরি প্রতিযোগিতার আত্মা। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমরা সকলেই বিভিন্ন হলেও, আমরা সকলেই ভিতরে ভিতরে এক।
চলুন অলিম্পিক গেমসকে উদযাপন করি, যা ক্রীড়া উদযাপনের পাশাপাশি একতা, শান্তি এবং আশার বার্তা বহন করে।