Parsi: ভারতের চিরাচরিত জরাথুস্ত্রীয় সম্প্রদায়




আজকের ভারতের পার্সি সম্প্রদায় হলো একটি প্রাচীন জরাথুস্ত্রীয় সম্প্রদায় যারা একসময় পার্সিয়ாவাসী ছিল। প্রায় এক হাজার বছর আগে ভারতের গুজরাট উপকূলে এসেছিল তারা। কালের আবর্তে ভারত হলো তাদের বাসস্থান হয়ে উঠে। তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, আচার-ব্যবহার সব কিছুই ভারতের আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
পার্সিদের ইতিহাস বেশ আকর্ষণীয়। সপ্তম শতকে আরবদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তারা পার্সিয়া থেকে এসেছিল। তারা প্রথমে সমুদ্রের রাস্তায় গুজরাট উপকূলে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে তারা ভারতের বিভিন্ন শহরে এবং গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল।
  • পার্সি জরাথুস্ত্রীয় সম্প্রদায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবং আগুনের পূজা।
  • তারা বিশ্বাস করে যে একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আছেন যিনি সমস্ত সৃষ্টির কর্তা।
  • তারা আগুনকে ঈশ্বরের একটি প্রতীক বলে বিশ্বাস করে এবং তাদের অগ্ন্যাশয়গুলিতে আগুন জ্বালাতে থাকে।
  • পার্সিদের একটি খুব জটিল এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ রয়েছে, যেখানে প্রতিটি সদস্যের একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে।
  • তারা বিশ্বাস করে যে সমস্ত মানুষ সমান এবং সবাইকে সম্মান করা উচিত।
আজকের ভারতের প্রায় সবকটি বড় শহরেই পার্সি समुदायের বসতি আছে। এদের মধ্যে মুম্বাই, পুনে, সুরাট, নাভসারী, ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা উল্লেখযোগ্য।
  • পার্সিদের ভারতের সমাজে অনেক অবদান রয়েছে।
  • তারা ব্যবসা, শিক্ষা এবং সামাজিক কল্যাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
  • তারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে।
পার্সি সম্প্রদায় ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছে।