প্যাভেল দুরভ রাশিয়ার একজন উদ্যোক্তা এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তিনি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ Telegram এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। তাকে রাশিয়ার "ফেসবুক বয়" হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে, কারণ তিনি রাশিয়ান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট VK এর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও।
দুরভের একটি বিতর্কিত এবং রহস্যময় অতীত রয়েছে। তিনি রাশিয়ান সরকারের একজন খোলাখুলি সমালোচক ছিলেন, যার ফলে তাকে রাশিয়া ছেড়ে যেতে হয়েছিল। 2013 সালে তিনি Telegram চালু করেন এবং এটি দ্রুত একটি জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে। তবে, তার গোপনীয়তা ফোকাসের কারণে রাশিয়ান সরকারের সাথে Telegram এর সংঘর্ষ হয়েছিল যার ফলে অ্যাপটি দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে।
Telegram একটি মেসেজিং অ্যাপ যা দ্রুত, নিরাপদ এবং গোপনীয় হিসাবে পরিচিত। এটি এন-টু-এন মেসেজিং, গ্রুপ চ্যাট এবং ভয়েস এবং ভিডিও কলের মতো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। Telegram এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এর এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, যা ব্যবহারকারদের মেসেজগুলিকে তৃতীয় পক্ষের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।
দুরভের জীবন আকর্ষণীয় এবং ঘটনাবহুল। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ফিলোলজিতে ডিগ্রি নিয়েছেন। স্নাতক হওয়ার পর, তিনি একটি সফ্টওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন যা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের মতো। 2006 সালে, তিনি তার ভাই নিকোলাই দুরভের সাথে VK সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।
VK রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হয়ে ওঠে এবং দুরভ দেশের সবচেয়ে ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন। তবে, 2014 সালে রাশিয়ান সরকারের সাথে দ্বন্দ্বের পর তিনি রাশিয়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
দুরভ বর্তমানে দুবাইতে নির্বাসনে বসবাস করেন। তিনি Telegram চালানো অব্যাহত রেখেছেন, যা একটি জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তিনি একটি ব্লগও লিখেন, যেখানে তিনি প্রযুক্তি, গোপনীয়তা এবং রাশিয়ান সরকার সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করেন।
দুরভ একটি প্রভাবশালী এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, একজন সোশ্যাল মিডিয়া বড় ব্যক্তিত্ব এবং রাশিয়ান সরকারের একজন খোলাখুলি সমালোচক। Telegram তৈরি করে তিনি বিশ্বজুড়ে লোকেদের সংযোগ করতে এবং তাদের গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছেন।
দুরভের লেগ্যাসি আগামী বছরগুলিতেও বহন করবে। তিনি একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব যিনি প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যতকে আকৃতি দিতে থাকবেন।