RTI বড় হাতিয়ার!




আমি যখন প্রথম প্রকাশের তথ্য অধিকার (RTI) আইনটি জানলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল এটি একটি বড় হাতিয়ার। যেকোনও তথ্য যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গা থেকে পাওয়া যেতে পারে৷ তবে আমি যখন বাস্তবে এটি ব্যবহার করলাম, তখন দেখলাম, বাস্তবতা আর ভাবনার বিশাল ফারাক।
আমাদের দেশের এই RTI আইনটি এত বড় একটি হাতিয়ার যে, এর সঠিক ব্যবহার হলে এত কিছু সম্ভব, তা ভেবে অবাক হতে হয়। সরকারি যেকোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি শক্ত অস্ত্র। আসলে এই আইনের প্রধান লক্ষ্য হ'ল তথ্যের অধিকারকে সর্বোপরি রাখা, যাতে সত্যি ঘটনাটি সামনে আসতে পারে এবং দুর্নীতি দূর করা যায়।
আমি একবার এই আইন ব্যবহার করে আমার এলাকার একটি স্কুলের তথ্য নিয়েছিলাম। স্কুলটিতে যথাযথ শিক্ষক ছিল না এবং শিক্ষকরাও ঠিকমতো পাঠদান করতেন না। সেখানে ছাত্র সংখ্যা কমে যাচ্ছিল, অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই করছিল না। আমি অফিসের সাহায্য নিয়ে স্কুলের বিভিন্ন তথ্য তুলে নিলাম, যেমন শিক্ষক সংখ্যা, স্কুলের তহবিলের সঠিক ব্যবহার ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো পেয়ে আমি স্কুল পরিচালন কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং তারা সাথে সাথে স্কুলের সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেয়।
আমি মনে করি, এই RTI আইনের সবচেয়ে বড় গুরুত্ব হ'ল, এটি সাধারণ মানুষকে সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে, যা এর আগে ছিল না। এটি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, যা সুশাসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই আইনেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। মাঝেমাঝে, সরকারি দফতর তথ্য পাঠাতে অনেক সময় নেয় বা কিছু ক্ষেত্রে তথ্য পাঠাতে অস্বীকারও করে থাকে। এটি তথ্যের অধিকারকে বাধাগ্রস্থ করে। তবে, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এটি একটি আইন এবং সরকারি দফতরগুলির এই আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। আমাদের এই আইনটি সম্পর্কে আরও বেশি মানুষকে সচেতন করতে হবে যাতে সবাই এই আইনের সদ্ব্যবহার করতে পারে।
যদি আমরা সবাই এই আইনটি সঠিকভাবে ব্যবহার করি, তবে আমরা দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ একটি সমাজ গড়ে তুলতে পারি যেখানে প্রাপ্য তথ্য পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।