Supriya Sule




সুপ্রিয়া সুলের কর্মজীবনকে একটি আলোচনার মধ্যে দিয়ে এখানে আলোকপাত করা হয়েছে। সুপ্রিয়া সুলের কেউ কেউ "সম্ভাবনার মেয়ে" হিসেবে উল্লেখ করে, তিনি অপরাজেয় হন এবং প্রতিবন্ধকতা তাকে আরও সামনে বাড়িয়ে দেয়। তিনি মনিকা গান্ধির মতো ভারতীয় রাজনীতির অল্প কিছু নারী সন্তানের মধ্যে একজন, যারা রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুপ্রিয়া সুলে শরদ পওয়ারের কন্যা, যিনি ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। তিনি মহারাষ্ট্র রাজ্যের বর্তমান সদস্য এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ পেয়েছেন। তিনি সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস (এনসিপি) এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সফল ব্যাংকার ছিলেন, তবে পরে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন।

কেরিয়ারের শুরু

সুপ্রিয়া সুলের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে, যখন তিনি বিদর্ভ থেকে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনকে অনেকেই অবাক হিসেবে দেখেছিলেন, কারণ তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন না।

রাজ্যসভায় তিনি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় নারী কমিশনের সদস্যও ছিলেন এবং তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন।

রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেছেন। তিনি তার বক্তৃতার কলাকুশলীতার জন্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে তার জ্ঞানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

সমাজসেবী কর্ম

রাজনীতির পাশাপাশি সুপ্রিয়া সুলের সামাজিক কাজের জন্যও পরিচিত। তিনি পান্ডুরঙ্গ শেঠ তীর্থরূপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন। এই ফাউন্ডেশনটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবিকা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে।

তিনি পিএমআরইআইসিএলের মহিলা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ডিস্ট্রিবিউশন একাডেমির চেয়ারপার্সনও। এই একাডেমিটি ভারতে মহিলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।

ব্যক্তিগত জীবন

সুপ্রিয়া সুলে ১৯৬৯ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শরদ পওয়ারের কন্যা এবং প্রতিভা পওয়ারের বড় বোন। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ এবং রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় ব্যাংকার হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি সদানন্দ সুলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান আছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সুপ্রিয়া সুলের রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি এনসিপির সভাপতি এবং তাকে তার পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখা হয়।

তিনি মহারাষ্ট্র রাজ্যে এনসিপিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে দলের উপস্থিতি জোরদার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন।