Türkiye vs Portugal: হারের মান রাখল সাবাসাশির ব্রাজিল

প্রীতি ম্যাচ হলেও টুর্নামেন্টের আগে দুই দলেরই ছিলো প্রমাণ করার অনেক কিছু। বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলে ফেরার পর এটাই ছিল মুস্তফা টুগরারের প্রথম ম্যাচ। বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড ফেরানে টোরেস ব্রাজিল দলে ডেবিউ করেন। কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে টোরেসের ব্রাজিল। তাই এই ম্যাচ অনেকটা প্রস্তুতিমূলকই বলা চলে।

তবে পর্তুগালের বিপক্ষে ড্র করাটা কম সাফল্য নয় সাবাসাশির। কারণ এই পর্তুগালের দলে ছিলো রোনাল্ডো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, জোয়াও ক্যানসেলোদের মতো তারকা ফুটবলাররা। আর ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র হলেও কয়েকটা ভালো সুযোগ সৃষ্টিতে সফল হয়েছিল সাবাসাশিরা। আর সার্বিকভাবে বললে, ম্যাচটা ছিলো অনেকটা সমানে সমান।

আলয়াভ অনাব্রত মাঠে এই ম্যাচের শুরুটা ভালোই ছিল টার্কিদের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দুর্দান্ত একটা সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু তা কাজে না লাগাতে পারে তারা। ম্যাচের আধঘন্টা পর্যন্ত টার্কিরাই বেশী ভালো খেলছিল বলা চলে। পর্তুগাল কিছুটা পিছিয়ে ছিল। তবে পর্তুগালের মতো দলের বিপক্ষে সবার সময় এগিয়ে থাকা যায় না। ৩৭ তম মিনিটে একটা লং বলে সুন্দর করে এগিয়ে যান জোটা। ডি বক্সে জোটাকে ফাউল করেন কাসিম্পাসা। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করার সুযোগ পায় পর্তুগাল। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রোনাল্ডো।

তবে ম্যাচের ৫২তম মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করা আরও বেশী দামী হয়ে ওঠে। লিসবনে খেলছিল পর্তুগাল। তবে প্রথম গোলটা করে সাবাসাশিরাই। সাবাসাশির স্ট্রাইকার সেনোল গুনেস লম্বা বলটা সুন্দরভাবে গ্রহন করে গোলের সামনে নিয়ে আসেন। জোরদার একটা শটে বলটা ফেলে দেন লুইস নেটোর গোলের জালে। ১-০ সাবাসাশিরা এগিয়ে।

তবে সাবাসাশিদের আনন্দের দিনটা বেশী দিন স্থায়ী হলো না। ৬১তম মিনিটেই খেলাটা ১-১ করে ফেলে পর্তুগাল। ডিয়েগো দালোতের ক্রশে পমাথ হয়েছিল টার্কিশ ডিফেন্সারা। বলটা চলে যায় রোনাল্ডোর কাছে। রোনাল্ডো সুন্দরভাবে সাবাসাশির গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন। ১-১ হয়ে যায় ম্যাচ।

এরপর আর গোল না হওয়ায় ম্যাচটা গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়। দুই দলই পায় একটা পয়েন্ট। তবে ম্যাচটায় জয়ের সম্ভাবনা বেশী ছিল সাবাসাশিদের। তাই ড্রয়ের ম্যাচটায় টুর্কিরাই বেশী খুশি।

এই ম্যাচের পর পর্তুগাল খেলবে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে। অন্যদিকে সাবাসাশির পরের ম্যাচটাই শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব। গ্রুপ পর্বে সাবাসাশির প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ইতালি, ইংল্যান্ড ও ইরান।