TISS-এর পথচলা: শিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক পরিবর্তনের অনুঘটক
শিক্ষার জগতে, "TISS" একটি প্রতিষ্ঠিত নাম, যেটি বহু বছর ধরে সামাজিক পরিবর্তনের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। TISS-এর পথচলা শুরু হয়েছিল 1936 সালে, যখন এটি একটি ছোট্ট, মুষ্টিমেয় সামাজিক কর্মীর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে আজ, এটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।
TISS-এর অনন্যতা
TISS-কে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করে তার অনন্য অ্যাকাডেমিক পদ্ধতি। TISS শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞানই দেয় না, বরং তাদের মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনেরও সুযোগ করে দেয়। প্রতিটি TISS শিক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি ফিল্ডワーク প্রকল্প সম্পন্ন করতে হয়, যেখানে তারা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় সামাজিক সমস্যার বাস্তব-জীবন সমাধানে কাজ করে।
সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়টিতে অঙ্গীকার
TISS এর মিশন সামাজিক পরিবর্তনে দায়বদ্ধ সামাজিক কর্মীদের তৈরি করা। এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতি রেখে, প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুবিধ গবেষণা ও উদ্যোগকে সমর্থন করে।
উদাহরণস্বরূপ, TISS-এর বিখ্যাত উদ্যোগগুলির মধ্যে একটি হল "কম্যুনিটি সার্ভিস গ্রুপ"। এই গ্রুপটি স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রদের গুচ্ছ দ্বারা পরিচালিত হয় যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিভিন্ন সামাজিক কারণে কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের শক্তি
TISS-এর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তির উৎস। তারা বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা উজ্জ্বল, মেধাবী এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ব্যক্তিদের একটি বৈচিত্রময় গ্রুপ। TISS শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং দলগত কাজের জন্য প্রশংসিত করা হয়।
TISS-এর কর্মসূচীসমূহ
TISS স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি সহ বিভিন্ন শিক্ষাগত কর্মসূচী অফার করে। স্নাতকোত্তর স্তরে, বিশ্ববিদ্যালয়টি সামাজিক কাজ, উন্নয়ন অধ্যয়ন, পাবলিক নীতি, সামাজিক নৃবিজ্ঞান, জনসম্পর্ক এবং আরও অনেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা প্রদান করে।
পারস্পরিক সম্পর্ক
TISS একটি দৃঢ় অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক সহ গর্বিত। TISS-এর প্রাক্তন ছাত্ররা বিশ্বজুড়ে সরকার, ব্যবসা, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তিশালী অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্প্রদায় বজায় রাখে এবং তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়তা করে।
প্রভাব এবং স্বীকৃতি
বছরের পর বছর ধরে, TISS সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে এর অবদানের জন্য উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সর্বোচ্চ "A++" গ্রেড দিয়ে NAAC দ্বারা স্বীকৃত এবং নিরন্তরভাবে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্থান পেয়েছে।
TISS-এর ভবিষ্যত
TISS ভবিষ্যতের দিকে আশাবাদীভাবে তাকিয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা এবং শিক্ষার সীমানাগুলিকে ধাক্কা দিতে চলমান রয়েছে। TISS একটি আরও নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা নিতে এবং আগামী বছরগুলিতে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি আরও শক্তিশালী অনুঘটক হিসাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আহ্বান কর্ম
যদি আপনি একটি সামাজিক পরিবর্তনের অনুঘটক হতে চান, তবে TISS আপনার পক্ষে সঠিক জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন অংশ হয়ে আসুন এবং সামাজিক বিচার, সমতা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সংগ্রামে আমাদের সাথে যোগ দিন।