Trinayani




তার মুখে তিনটি চোখ ছিল। এমন একজন মহিলাকে দেখার কল্পনা করা কঠিন, তবে এটাই ছিল সত্য। এই কিংবদন্তির মূল চরিত্রের নাম ছিল "ত্রিনয়ানী"।


তার বাবা-মা দুজনেই অন্ধ ছিলেন। তারা মনে মনে ইচ্ছে করেছিলেন একটি সন্তানের যাতে তিনটি চোখ থাকে যাতে তাদের প্রতিটি চোখের পরিবর্তে একটি করে চোখ তাকে দিতে পারে এবং তাকে দৃষ্টিশক্তি দেওয়া যায়। তাদের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তাদের একটি মেয়ে সন্তান দিলেন যার তিনটি চোখ ছিল। একটা কপালের মাঝখানে এবং বাকি দুটি স্বাভাবিক জায়গায়। বোঝাই যাচ্ছে, তাকে ত্রিনয়ানী নাম দিয়েছিলেন।


ত্রিনয়ানীর তিনটি চোখ ছিল বলে সে খুব সুন্দর দেখতে ছিল। কিন্তু তার তিনটি চোখ থাকায় সবাই ভয় পেত তাকে। তারা ভয় পেত যে তার অতিরিক্ত চোখের সাহায্যে সে তাদের গোপন কাজকর্ম দেখতে পায়। তাই তারা তাকে এড়িয়ে চলত।

ত্রিনয়ানী এই জন্য খুব दुःखী ছিল। সে নিজেকে একা ও অবহেলিত বোধ করত। সে আশা করেছিল যে তার তিনটি চোখ তাকে আরও বেশি সুন্দর দেখাবে এবং লোকেরা তাকে আরও বেশি ভালোবাসবে। কিন্তু বাস্তবতা তার কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

একদিন, ত্রিনয়ানী একটি ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যায়। সে কি করবে বুঝতে না পেরে ঘন বনের মধ্যে এদিক-ওদিক ঘুরছিল। হঠাৎ সে একটি উজ্জ্বল আলো দেখতে পায়। সেই আলোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

আলোর কাছে পৌঁছালে সে দেখে, একটি সুন্দর মন্দির। মন্দিরের ভিতরে সে একটি সুন্দরী দেবীকে দেখতে পায়। দেবী তাকে বলে, "ত্রিনয়ানী, তুমি তোমার তিনটি চোখের জন্য दुःখী, কিন্তু জানো কি এই তিনটি চোখ তোমাকে একটি বিশেষ শক্তি দেয়।" ত্রিনয়ানী জিজ্ঞেস করে, "কী শক্তি দেবী?" দেবী বলেন, "তুমি এই তিনটি চোখের সাহায্যে ভবিষ্যৎ দেখতে পারো।"

ত্রিনয়ানী খুব খুশি হয়। সে দেবীর কাছে তার তিনটি চোখের শক্তি সম্পর্কে শেখে। তারপর সে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে এবং তার শক্তি দিয়ে মানুষকে সাহায্য করতে শুরু করে। সে তাদের ভবিষ্যৎ দেখাতে শুরু করে এবং তাদের খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিনয়ানী খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মানুষ তার কাছে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে আসত। তিনি তাদের সাবধানবাণী দিতেন এবং তাদের সঠিক পথে চলতে সাহায্য করতেন।

ત્રিনয়ানীর গল্প আমাদের শেখায় যে, আমাদের শরীরের অসম্পূর্ণতাকে আমাদের দুর্বলতা হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং আমাদের এগুলিকে আমাদের শক্তি হিসেবে দেখা উচিত। যদি আমরা সঠিকভাবে তাদের ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমরা দুনিয়াকে একটি আরও ভালো জায়গা বানাতে পারি।