আমি একজন ক্যাজুয়াল ফুটবল ফ্যান, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের উত্তেজনা অন্য স্তরের। আমি ম্যাচটি দেখার জন্য আমার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাই, এবং আমরা সবাই মিলে একটি বড় টেলিভিশনের সামনে জড়ো হই।
কেউ কেউ ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে ছিল, যেহেতু তাদের কাছে তারকা ফরোয়ার্ড আরলিং হাল্যান্ড ছিল, যিনি গোল করার মেশিন হিসেবে পরিচিত। অন্যরা রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে ছিল, তাদের কাছে অনেকটা অভিজ্ঞতা ছিল এবং বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে অসাধারণ রেকর্ড ছিল।
ম্যাচটি শুরু হলেই উত্তেজনা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। উভয় দলই চাপের মধ্যে ছিল, যা স্পষ্ট ছিল তাদের চলনভঙ্গি এবং পাসের দিকে। কিছুক্ষণ পর, ম্যানচেস্টার সিটি কর্নার পেল। বলটি বক্সের মধ্যে ক্রস করা হলে, রুবেন ডায়াস মাথা দিয়ে গোল করলেন। স্টেডিয়াম কেঁপে উঠল, এবং সিটির সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে উঠল।
রিয়াল মাদ্রিদ দ্রুতই ফিরে আসে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একটি দুর্দান্ত ফ্রি-কিক করলেন, যা সিটির গোলরক্ষক এডারসনের হাত ছুঁয়ে গেলেও জালে জড়িয়ে গেল। স্কোর হল 1-1.
দ্বিতীয়ার্ধেও উত্তেজনা কমল না। উভয় দলই কয়েকটি দুর্দান্ত সুযোগ পেল, কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারল না। যখন ম্যাচ শেষ হতে শুধুমাত্র কয়েক মিনিট বাকি ছিল, তখন রিয়াল মাদ্রিদ পেনাল্টি পেল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জালে ছুড়ে মারেন, এবং রিয়াল মাদ্রিদ ১২তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জিতে নেয়।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, আমার বন্ধুরা এবং আমি এখনও উত্তম হয়ে আছি। আমরা ম্যাচের হাইলাইট নিয়ে কথা বলেছিলাম, এবং ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে সমর্থন করার জন্য আমাদের আফসোস করেছি। তবে, আমরা রিয়াল মাদ্রিদকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়ার জন্যও রাজি ছিলাম।
যদিও সেদিন আমরা যার জন্য সমর্থন করেছিলাম সে দল হেরে গেছে, তবুও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের অভিজ্ঞতা আমার কাছে অমূল্য। এটি এমন একটি ম্যাচ ছিল যা আমি কখনই ভুলব না।