Ustaad Bhagat Singh: এক বিপ্লবী অধ্যাত্মবাদীর গল্প
আজ আমরা বলি রুশ বিপ্লবের কথা। আমরা জানি লেনিনকে, ট্রটস্কিকে, স্ট্যালিনকে। কিন্তু ভারতের অজানা বিপ্লবী গুপ্তদল 'হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের' প্রতিষ্ঠাতা সাধক, অধ্যাত্মবাদী ভগৎ সিং স্বাধীনতার অগ্নিপরীক্ষায় আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করেন৷
ভাগত সিং এর ত্যাগ, আত্মবিশ্বাস, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে 'যুগান্তর দলের' প্রণীত ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি গদর পার্টির সাথে মিলে ভারতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটানোর পরিকল্পনা করেন।
ভাগত সিং-এর অধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয় মহাত্মা গান্ধীর আহিংস আন্দোলন থেকে। কিন্তু যখন তিনি দেখলেন যে, গান্ধীর অহিংসা ব্রিটিশ শাসকদের দমাতে পারছে না, তখন তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নিলেন।
ভাগৎ সিংয়ের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় আরুণি সেনগুপ্তের সঙ্গে দেখা। তাঁর কাছ থেকেই তিনি অনুশীলন করেন বিপ্লবী দল গঠনের কঠোর সাধনা। স্বদেশী পণ্যের ব্যবহার, ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র পাঠ, নিয়মিত শরীরচর্চা- সবই ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ।
1928 সালে ভাগত সিং ও তার সহযোগীরা লোহাট পার্কের নিকট লাহোরের পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে তুমুল আলোড়ন। ভাগত সিং-সহ অন্যান্য বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়।
দুু বছরের বিচারের পর 1931 সালের 23 মার্চ ভাগত সিং ও তার দুই সহযোগী শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেব থাপরকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ভাগত সিং-এর ফাঁসি সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তিনি একজন শহীদ হিসেবে সম্মানিত হন। তাঁর সাহস, ত্যাগ ও দেশপ্রেম আজও ভারতের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করে।
ভাগত সিং ছিলেন একজন বিপ্লবী, একজন অধ্যাত্মবাদী, একজন দেশপ্রেমিক। তাঁর জীবন ও দর্শন আজও আমাদের প্রেরণার উৎস। তাঁর মৃত্যুদিন 23 মার্চ দেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।