Vinayaka Chavithi: উদযাপনের পিছনে লুকানো গল্প ও তাৎপর্য




মা দুর্গার পুজোর আগের দিন, আমরা দুর্গা দেবীর সন্তান গণেশের জন্মদিন উদযাপন করি। এই উৎসবটিকে "বিঘ্নহরতা চতুর্থী" বা "গণেশ চতুর্থী"ও বলা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনই গণেশের জন্ম হয়েছিল। তাঁর জন্মের গল্পটি বেশ মজার।
এক সময়, মা পার্বতী স্নান করতে গিয়েছিলেন। তিনি দরজায় ঘি দিয়ে তুলার একটি পুতুল তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন। যখন শিব ফিরে আসেন, তিনি দরজা অবরোধ করতে দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে যান। তিনি তাঁর তৃতীয় নেত্র খুলে তুলার পুতুলটিকে ছাই করে দেন।
পার্বতী তাঁর সন্তানের মৃতদেহ দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন। শিব তখন অনুশোচনায় ভরে যান এবং তাঁর অনুচরদের একজনকে নির্দেশ দেন যে, প্রথম প্রাণীটির মস্তকটি দেখে তা পুতুলের দেহের সাথে যুক্ত করতে।
প্রথমে তারা একটি হাতির মস্তক দেখতে পায়। তাই তাকে পুতুলের দেহের সাথে যুক্ত করা হয় এবং এভাবে গণেশের জন্ম হয়।
গণেশ গুণাবলীর আধার। তিনি বুদ্ধি, জ্ঞান, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের দেবতা। তিনি সব বাধা দূর করেন এবং তাঁর ভক্তদের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করেন।
বিঘ্নহরতা চতুর্থীর দিন, আমরা গণেশের মূর্তি পূজা করি, তাঁর প্রিয় খাবার মোদক খাই এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করি। আমরা বিশ্বাস করি যে, গণেশ আমাদের জীবন থেকে সব বাধা দূর করবেন এবং আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি দেবেন।
এই উৎসবটি ভারতে ব্যাপকভাবে উদযাপন করা হয়। মহারাষ্ট্রে, গণেশ চতুর্থী একটি বিশাল উৎসব। এটি ১০ দিন ধরে উদযাপিত হয় এবং এর সমাপ্তি হয় "অনন্ত চতুর্দশী"র দিন, যখন গণেশের মূর্তিগুলি নদী বা সমুদ্রে নিমজ্জিত করা হয়।
গণেশ চতুর্থী শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবও। এটি লোকদের একত্রিত করে এবং তাদের মধ্যে একতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে।
এই উৎসবে, আমরা গণেশের কাছে প্রার্থনা করি যে, তিনি আমাদের জীবন থেকে সব বাধা দূর করুন এবং আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি দিন। আমরা বিশ্বাস করি যে, তিনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন এবং আমাদের আশীর্বাদ করবেন।