আমার ছোটবেলায়, বিশু ছিল বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। আমার বাবা-মা প্রতিবছর জাঁকজমক করে উদযাপন করতেন, আমাদেরকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরাতেন এবং সুস্বাদু খাবার দিয়ে আমাদের আনন্দ দিতেন। আজ, যদিও আমি বড় হয়ে গিয়েছি, বিশুর প্রতি আমার উত্তেজনা একটুও কমেনি।
বিশু কেরলের একটি প্রধান উৎসব, যা মেষ রাশির সূর্যযাত্রার সূচনা উদযাপন করে। এটি সাধারণত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পড়ে এবং বছরের একটি নতুন শুরুর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। উৎসবটি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও উদযাপিত হয়, যেমন তামিলনাড়ু ও কর্নাটক, যেখানে এটিকে পুত্তান্ডু নামেও পরিচিত।
কেরলের বিশু উদযাপন অনন্য এবং চিত্তাকর্ষক। উৎসবটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রীতিগুলির মধ্যে একটি হল 'বিশু কন্যে', যা বিশু দেবীর রূপকে বোঝায়। বিশু কন্যাকে ঘরে স্বাগত জানানোর জন্য, মানুষ তাদের ঘরগুলি সাজায়, মেঝেতে রঙ্গোলি তৈরি করে এবং দেবতাকে উৎসর্গ করার জন্য রঙিন ফুলের আল্পনা তৈরি করে।
এই রীতিগুলি ছাড়াও, বিশুতে সুস্বাদু খাবারেরও গুরুত্ব রয়েছে। সদ্যা ভোজন হল বিশু উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সুস্বাদু তরকারি, সাম্বার, রাসম এবং পায়াসম সহ বিভিন্ন খাবারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
আজ, যদিও আমি আমার বাবা-মার সাথে বিশু উদযাপন করি না, কিন্তু উৎসবের প্রতি আমার ভালবাসা একটুও কমেনি। এটি আমাকে আমার শৈশবের স্মৃতির সাথে সংযুক্ত করে, এবং আমাকে আমার সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়। আমি আশা করি যে বিশু আগামী বছরগুলোতেও একই উদ্যম এবং উৎসাহের সাথে উদযাপিত হবে, আগামী প্রজন্মকে আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত করতে।